
মোখলেছুর রহমান : হলিউডের আলোচিতস্টার ওয়ারস সিনেমায় দেখা গেছে লাইটসেভার অর্থাৎ লেজার রশ্মি বিচ্ছুরণে সক্ষম এমন তলোয়ার। কিন্তু সিনেমায় দেখানো লেজার রশ্মি প্রযুক্তির তলোয়ার কী আদৌ বাস্তবে সম্ভব?
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইউসি বার্কলে ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানের এক অধ্যাপকের মতে, লাইটসেভার (লেজার রশ্মি বিচ্ছুরণে সক্ষম তলোয়ার) তৈরি করা সম্ভব।
এছাড়াও অধ্যাপক রিচার্ড মুলার যিনি পারমাণবিক ও কণা অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ইনস্টিটিউট সঙ্গে যুক্ত তিনিও মনে করেন, খুব একটা কঠিন হবে না এ ধরনের একটি লাইটসেভার তৈরি করা। মুলার তার দাবিটিকে আরো জোরালোভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে বলেন, এক ধরনের ছোট অ্যাক্সেলেটর (বেগবর্ধক) যন্ত্র ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে যা ইলেকট্রনের গতিকে প্রায় আলোর গতির সমপর্যায়ে নিয়ে যাবে (আলোর গতির প্রায় ৯৯.৯৯৯%)।
বস্তুত, লরেন্স বার্কলে ল্যাবরেটরি যেখানে মুলার কাজ করেন সেখানে ‘বেলা’ নামের এমন একটি অ্যাক্সেলেটর ইতিমধ্যেই আছে।
মুলার বলেন ‘এই সব ছোট ছোট অ্যাক্সেলেটরগুলোকে একটি লাইটসেভারের হ্যান্ডেল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত করে তোলা যেতে পারে।
‘আমি বলছি না বেলা নিশ্চিতভাবে এই কাজটি করতে পারবে কিন্তু এটি আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করছে এবং দেখিয়ে দিচ্ছে যে আমরা সফলতার দ্বারপ্রান্তে রয়েছি।’
মুলার বলেন, আমি বিশ্বাস করি সত্যিকারের লাইটসেভারকে ঠিক তেমনই হতে হবে, যেমনটি আমি সিনেমা দেখেছি ।
এদিকে জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী নিল ডিগ্রাস টাইসন, ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী ব্রায়ান কক্সের একটি তর্ক যুদ্ধে নেমেছেন যে, আদৌ আসলে একটি লাইটসেভার অস্ত্র সম্ভব কিনা সে বিষয়ে। টাইসন প্রাথমিকভাবে দাবি করেন যে লাইটসেভার আসলে যদি আলোর দ্বারা তৈরি করা হয়ে থাকে, তাহলে এটি শুধু পরস্পরের মধ্যে আলোই আদান প্রদান করবে।
কিন্তু কক্স পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন যে, ‘এতে যথেষ্ট উচ্চ শক্তি থাকার কারণে এ থেকে গামা রশ্মি বের হবে যা এটিকে অস্ত্রে পরিণত করবে।’
সুতরাং এখনো যারা মনে করেন যে বাস্তব লাইটসেভার আসলে সম্ভব নয়, তাদের সেই বিশ্বাসটা হয়তো ভাঙতে চলেছে।
তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
No comments:
Post a Comment