Tuesday, December 15, 2015

মহাকাশের অতিদানবীয় শক্তি ব্ল্যাকহোল

Unnamed
ব্ল্যাকহোল নামটি
হয়তো আপনারা
অনেকেই শুনেছেন।
কিন্তু ব্ল্যাকহোল
জিনিসটি আসলে কি তা
আমরা অনেকেই জানিনা। মহাকাশের
এক অতিদানবীয়
শক্তির নাম
ব্ল্যাকহোল। এর
শক্তির প্রভাব এতটাই
বেশি যে আলো পর্যন্ত এর কবল থেকে বেরিয়ে
আসতে পারে না।
এখানে মাধ্যাকর্ষণ
বল এবং পদার্থের
ঘনত্ব খুবই বেশি। ফলে
যেকোনো কিছু এর মধ্যে একবার ঢুকে গেলে আর
বেরিয়ে আসার
সামর্থ্য রাখে না।
একবার কোনো কিছু এর
মধ্যে ঢুকে পড়লে তার
অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যায়। ব্ল্যাকহোল
খালি চোখে দেখা যায়
না। কিন্তু চারপাশে
এর অস্তিত্ব বোঝা
যায়। ব্ল্যাকহোল
পদার্থগুলোর অতিরিক্ত ভরে শুষে নিতে থাকে
ফলে এর চারপাশে এক
ধরনের ঘূর্ণাবর্তের
সৃষ্টি হয়। যেকোনো
কিছুকেই এটি গিলে
ফেলতে পারে। এই প্রকাণ্ড মাহাকাশে
অসংখ্য ছোট-বড়
ব্ল্যাকহোল ছড়িয়ে
ছিটিয়ে আছে।
বিজ্ঞানীদের
ভাষ্যমতে সবচেয়ে ছোট ব্ল্যাকহোলটি
একটি পরমাণুর সমানও
হতে পারে। আবার
কয়েক মিলিয়ন সূর্যের
ওজনের সমান
ব্ল্যাকহোলও আছে। আমাদের
বাসস্থান মিল্কিওয়ে
গ্যালাক্সীর
কেন্দ্রে সেগিট্টারিস
নামে সূর্যের ভরের
চারগুনের একটি ব্ল্যাকহোল আছে যার
ভেতরে কয়েক মিলিয়ন
পৃথিবী রাখা যাবে।
এইরকম বড় বড়
ব্ল্যাকহোলগুলোকে সুপারম্যাসিব
নামে ডাকা হয়। একটি তারার আয়ু শেষ হবার
পর সেটি ব্ল্যাকহোল-এ
পরিণত হতে পারে।
যখন তারাটি তার
সমস্ত হাইড্রোজেন
জ্বালিয়ে হিলিয়ামে পরিণত করে ফেলে তখন
ভেতরের নিউক্লিয়ার
ফিউশন বিক্রিয়া বন্ধ
হয়ে যায় এবং তারাটি
ধীরে ধীরে সংকুচিত
হতে থাকে। কিন্তু এর ভর সমানই থাকে।
আস্তে আস্তে এটি
ব্ল্যাকহোলে পরিনত
হয়ে যায়।
বিজ্ঞানীরা মনে
করেন এই ব্ল্যাকহোল এর সম্পর্কে সবকিছু
জানতে পারলেই এই
মহাবিশ্বের সৃষ্টি
সম্পর্কেও জানা
যাবে।



No comments: