মোখলেছুর রহমান : রোবট, বর্তমান প্রযুক্তি দুনিয়ার সবচেয়ে চমকপ্রদ আবিস্কার। এই যন্ত্র মানবটিকে দিয়ে মানুষ কত কিছুই না করাতে চেষ্টা করছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে রোবটকে।
কিন্তু রোবট কী মানুষের মতোই ইচ্ছেমতো তার হাত-পা-মাথা নাড়াচাড়া করতে পারবে কখনো? অনেকের কাছেই এটি অসম্ভব মনে হতে পারে কিন্তু এই অসম্ভব ঘটনাটিই সম্ভবত ঘটতে চলেছে। কারণ নাসা’র নতুন ধারণকৃত একটি ভিডিওতে এমন একটি দৃশ্যই ফুটে উঠেছে যে, নাসার রোবট ভেলকিরে নাচের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তার হাত-পা-মাথা নাড়াচাড়া করতে পারছে।
ভিডিওতে, নাসার এই রোবটটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিউজিকের তালে ভূমির ওপর তার বিভিন্ন অংশকে মুভমেন্ট করতে দেখা গেছে। সুতরাং যান্ত্রিক মানবকে নিয়ে নতুন করে ভাবনার সময় এসেছে।
যদিও ভেলকিরে হিসেবে পরিচিত এই রোবটটি একজন হিপহপ নৃত্যশিল্পীর মত এত সুন্দর করে পা মিলিয়ে নাচতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না কিন্তু এই যান্ত্রিক মানবটির স্বয়ংক্রিয় মুভমেন্ট একটি বড় অর্জন বলে মনে করা হচ্ছে, যা কিনা রোবট ব্যবহার করে মঙ্গল ও অন্যান্য গ্রহে অন্বেষণে নাসার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে অপরিহার্য।
এটা অবিশ্বাস্য যে ভেলকিরে, যার কিনা ৬ ফুট লম্বা এবং ২৯০ পাউন্ড ওজন, এই রোবটটি মানুষের খুবই সামান্য সাহায্য নিয়ে এবং ভারসাম্যের সঙ্গে নিয়ে মুভমেন্ট করতে সক্ষম। যদিও ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে পশ্চাৎপদ হয়ে ও সামনের দিকে ঝুঁকে-উভয়ভাবেই রোবটটি তার ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছে এবং এটি এক পা থেকে অন্য পায়ে ওজন সরাতে পারছে এবং এক পায়ে ভারসাম্য রেখে দাঁড়াতে এটি সক্ষম।
ভেলকিরেকে প্রথমে দুর্যোগ ত্রাণ কাজে সাহায্য করা এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধার রোবট হিসাবে ডিজাইন করা হয়। তবে গত নভেম্বরে নাসা আরো গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য দুটি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দলকে দুটি রোবট দান করে। একটি রোবট বস্টন নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং অন্যটি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে পাঠানো হয়েছিল। নাসা আশা করছে ভবিষ্যতে কোনো একদিন মঙ্গল গ্রহকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলতে মঙ্গলে ভেলকিরেকে পাঠানো হবে।
ভেলকিরে হচ্ছে নাসার প্রথম রোবট, যা কিনা মানুষের মত দুটি পা এর ওপর দাঁড়ানো।
তথ্যসূত্র: স্পেস ডটকম
No comments:
Post a Comment